মোঃ সেলিম রেজা,কেশবপুর প্রতিনিধি: কেশবপুরে ২৭ বিলের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে এলাকা বাসির দাবি। আর এ পানি নিষ্কাশনের পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন এমপি আজিজুল ইসলাম।
 দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯০ যশোর -৬ কেশবপুর আসনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য তরুণ প্রজন্মের আস্থা ও অহংকার  আজিজুল ইসলাম এমপি কৃষকের কথা চিন্তা করে মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য শনিবার ১৩ জানুয়ারী সকালে ছুটে যান ২৭ বিলের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে।যশোর জেলার অন্তর্গত কেশবপুর ও মণিরামপুর উপজেলার ভবদহ অঞ্চলে অবস্থিত ২৭ বিল।
ওই সমস্ত বিলের চারপাশে ৬টি ইউনিয়নের ৬৮টি গ্রাম রয়েছে। বিলে ধানী জমির পরিমাণ ৮৮ হাজার হেক্টর। দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ এ বিলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ক্রমান্বয়ে স্থায়ী রূপ লাভ করেছে। নদী ভরাট হয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হওয়ায় গত বছর ২৭ বিলে প্রায় ৫০ ভাগ এলাকায় বোরো আবাদ হয়নি। এবারও বোরো আবাদ না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। জলাবদ্ধতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফলজ, বনজ ও সবজি ক্ষেত। ফলে মানুষের জীবন-জীবিকা, কর্মসংস্থান, অর্থনীতি, শিক্ষা, গোখাদ্য ও সামাজিক কর্মকান্ডের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।বেশ কিছু দিন আগেও
২৭ বিল বাঁচাও আন্দোলন কমিটির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ১৪ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল ১৪ দফা দাবির ভেতর রয়েছে- কেশবপুরের বিলখুকশিয়ার ডায়েরখালি খালের ৮ ব্যান্ড স্লুইস গেট সংলগ্ন শ্রীহরি নদী জরুরি ভিত্তিতে খনন, পানি নিষ্কাশনে সকল খালের বাধাসমূহ অপসরণ, শ্রীহরি নদীর অববাহিকায় যে কোন একটা বিলে জোয়ারাধার (টিআরএম) প্রকল্প চালু, সকল নদী দখল মুক্ত, ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ক্ষতিপূরণ, জলাবদ্ধ অঞ্চলে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগের চিকিৎসা বিনা খরচে করা। এসময় এমপি আজিজুল ইসলাম জলাবদ্ধতা নিরাশনে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন,কেশবপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির হোসেন, সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জিএম হোসেন,সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের যু্গ্ম আহ্বায়ক শামীম রেজা,যুবলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ,ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির টিনু, যুবলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম,টিপু সুলতান,আব্দুল হামিদ,তরিকুল ইসলাম গাজী,ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ,শ্রীকান্ত, তুষার হোসেন, প্রমুখ।